প্রকাশিত: Sat, Jun 22, 2024 11:59 AM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 2:25 PM

[১]সবার নজর এখন সুইসব্যাংকে, হঠাৎ করে বাংলাদেশিরা অর্থ সরিয়ে নিয়েছে

মোস্তাকিম স্বাধীন: [২] বিশে^র নামিদামী ব্যক্তিরা তাদের গচ্ছিত অর্থ ও সম্পদ সুইসব্যাংকে  জমা রাখেন। সুইসব্যাংক  বলতে বিশেষ কোনো ব্যাংককে বোঝায় না। সুইজারল্যান্ডের ৬টি ব্যাংককে একত্রিতভাবে সুইসব্যাংক বলা হয়। এই ব্যাংকের বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে গ্রাহকদের পরিচয় কিংবা টাকার পরিমাণ সবকিছুই গোপন রাখা হয়। এসব ব্যাংকে বিত্তশালীরা যে টাকাগুলো রাখেন তার বেশীর ভাগই অবৈধ উপায়ে অর্জিত । (উইকিপিডিয়া)

[৩] সুইসব্যাংকে গত এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশীদের আমানত  ৫ কোটি সুইস ফ্রাঁ কমে এখন দাঁড়িয়েছে  ১ কোটি ৮০লাখ ফ্রাঁতে।  ২০২১ সালে সুইসব্যাংকে বাংলাদেশীদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ ছিলো ৮৭ কোটি ২০ লাখ সুইস ফ্রাঁ। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ জমা হওয়া অর্থের সমান। (কালের কন্ঠ ২১-০৬-২০২৪) 

[৪]  মাত্র এক বছরেই সুইসব্যাংক থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক ও এদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডলার সংকট এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। কেউ কেউ পাচার করা টাকাও হয়তো সরিয়ে নিয়েছেন। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) ২০২২ সালে সবদেশের সঙ্গে তাদের লেন-দেন সম্পর্কিত দায় ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ করেছে । (বিবিসি বাংলা ২১-০৬-২০২৪)

[৫] সুইসব্যাংকে বাংলাদেশীদের গচ্ছিত অর্থ এক বছরে ৬৭ শতাংশ কমে যাওয়ার তথ্যটি এমন সময়ে এসেছে যখন দেশে অর্থপাচারের বিষয়টি নতুন করে এসেছে । বাংলাদেশীদের অর্থ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়ার পেছনে গোপনীয়তার অভাবকে দায়ী করেছেন দেশের অর্থনীতিবিরা । (ইত্তেফাক ২১-০৬-২০২৪)

[৬] বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ পাচার রোধে কঠোরতা আরোপের কারণে অনেকেই সুইসব্যাংকে টাকা জমা রাখতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এছাড়া ডলার শক্তিশালী হওয়ায় ভিন্ন মুদ্রায় অর্থ জমা রাখাও এখন আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। (রাইজিং বিডি ২১-০৬-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব